স্বদেশ ডেস্ক:
পাল্টা বক্তব্য না দিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের আরো দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত ছিল বলে মনে করেন সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, বিসিবির উচিত খেলোয়াড়দের ডেকে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “ক্রিকেটারদের এভাবে ধর্মঘটে চলে যাওয়া উচিত হয়নি। তাদের আগে বোর্ডকে জানানো উচিত ছিলো। এবং বসে সমাধান করা উচিত ছিলো। আর বোর্ড হলো অভিভাবক। তাই অভিভাবকের কাছে দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি।”
তিনি বলেন, খেলোয়াড়রা সংবাদ সম্মেলন করেছে বলে বোর্ড ও প্রেসিডেন্টকে সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টা জবাব দিতে হবে?
“এটা না করে খেলোয়াড়দের ডাকতো। ডেকে বসে সমাধান করা উচিত ছিলো। এখন পক্ষ বিপক্ষ হয়ে গেছে। যা ক্রিকেটের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে না।”
সাবের হোসেন চৌধুরী দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রশাসনের সাথে জড়িত ছিলেন। তার সময়েই বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিলো।
আবার ক্রিকেটের নানা ইস্যুতে বোর্ডের বর্তমান প্রশাসনের সাথেও নানা ইস্যুতে তিক্ততায় জড়িয়েছেন তিনি।
বিবিসিকে তিনি বলছেন, “অবশ্যই আমার স্পষ্ট বক্তব্য আছে। বিশেষ করে ম্যাচ ফিক্সিং, দুর্নীতি এসব বিষয়ে সবসময়েই আমার অবস্থান আছে। কিন্তু এখন সমাধানে যেতে হবে। ফিকা (খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক সংগঠন) চলে আসছে এবং সামনে ভারত সফর আছে।”
তিনি বলেন, প্রথমেই উচিত ছিলো সঙ্কটটা যেনো এ পর্যায়ে না আসে।
“একটা বিষয় স্পষ্ট যে অনেক বড় দূরত্ব তৈরি হয়েছে শীর্ষ খেলোয়াড় ও বোর্ডের মধ্যে। এটা কমিয়ে আনতে হবে। এখন জরুরি যেটা সেটা হলো পক্ষ বিপক্ষ বা পাল্টাপাল্টি না, একটা সমাধানের জায়গায় পৌঁছাতে হবে। এটা যত দ্রুত হয় ততই মঙ্গল। দু’পক্ষ অনড় থাকলে সমাধান সম্ভব হবেনা। তাই দু’পক্ষকেই ছাড় দিয়ে বসতে হবে এবং একটা সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে।”
সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে খেলোয়াড়দের ধর্মঘটে যাওয়ার পর বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন যে এ ঘোষণার পেছনে ‘ষড়যন্ত্র’ আছে বলে মনে করেন তিনি।
যদিও ‘ষড়যন্ত্র’ কারা করছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য তিনি জানাননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবের চৌধুরী বলেন, “এটা গুরুতর অভিযোগ। কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে থাকে ক্রিকেট বোর্ডের ভেতর ও বাইরে থেকে সে তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করলে বা তদন্ত হলে আমরা সমর্থন করবো।”
তবে এখানে যেসব খেলোয়াড়রা জড়িত তারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতিচ্ছবি। সাকিব, তামিম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ তারা তাদের মাঠের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের একটা নতুন পরিচিতি তুলে ধরেছে।